প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে।
শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অপর চার নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান এবং সাবেক জে্যষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, নতুন ইসি গঠনের চূড়ান্ত তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এখন তারা প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল সর্বশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়।
যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন।
এছাড়া সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান। তবে বিএনপি এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি।
সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর তারা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০ জনের এ তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। ওই ১০ জন থেকে ৫ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করলেন রাষ্ট্রপতি।